সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রায়নগর পুলিশ ফাঁড়ির চৌকোশ পুলিশ অফিসার এস,আই মোঃ মাইদুল ইসলাম ও তার সরযোগীদের নিরলস পরিস্রমে কমেছে সুন্দরবনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। গত জুন মাসে রায়নগর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ২০ মিটার নেট জাল জব্দ , কাঁকড়া ৬০ কেজি অবমুক্ত , ১ লক্ষ ৬২ হাজার পিচ বাগদা , রেনু অবমুক্ত , নিয়মিত মামলা ২ টি , মোবাইল কোর্ট ৬ টি এবং গ্রেফতার ১১ জন। নৌ পুলিশ নদী পথে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার ফলে বন ও নদী পথের অবৈধ্য চোরাকারবারিদের ঘুম হারাম। এছাড়া ভারতীয় বিভিন্ন প্রকসর মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে রক্ষা পাচ্ছে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, এস,আই মাইদুল ইসলাম ও তার সহকারীদ্বয় ঝড়, বৃষ্টি , জলোচ্ছাস উপেক্ষা করে অভিযান অব্যহত রাখেন । যার ফলে অপরাধকারীরা পারছেনা বন্য সম্পদ ধ্বংস করতে সেই সাথে রক্ষা পাচ্ছে নদীর মা- মাছেরা এবং নির্মূল হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি যোগদান করার পর হতে এএসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম , এএসআই মোঃ সফিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের সাথে নিয়ে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন সকল প্রকার অপরাধ নির্মূল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরাম । নদী পথে নিয়মিত টহল অব্যহত রেখেছি। তবে এলাকার জেলেদের নিবৃত্ত রাখা কিছুটা কঠিন কাজ । বিষয়টি কঠিন হলেও একজন আইনের লোক হিসেবে এ দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের। জেলেদের নিবৃত রাখতে হবে। এছাড়া আমাদের ত্রুটিযুক্ত ও নিন্ম গতির নৌযানের কারনে অনেক সময় অপরাধীরা ফসকে যায়। তবে আমি ও আমার টিমের সকলের প্রচেষ্টায় অনেক অপরাধ কমকান্ড কমিয়ে ফেলেছি।এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। উচ্চ গতি সম্পন্ন একটি বোর্ড হলে অধিকাংশ অভিযানে সফল হওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন , বর্তমানে সরকারী ভাবে নদীতে ৬৫ দিন মাছ ও কাঁকড়া আহরন নিষিদ্ধ হওয়ায় আমাদের কঠোর আভযানের ফলে এক শ্রেনীর চক্র নিজেদের অবৈধ্য কাজ হাসিল করতে না পেরে সাংবাদিকদের কাছে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। যেটি খুবি দুঃখ জনক। ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।